আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যা ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। তবে ৫ মিনিটের চার্টে এই পেয়ারের মূল্যের একেবারেই ফ্ল্যাট মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট দুর্বল ছিল। আরও স্পষ্টভাবে বললে, এই পেয়ারের মূল্য এখন একটি স্থবিরতার পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, যা থেকে পুনরায় ভোলাটিলিটি সৃষ্টির জন্য মার্কেটে বড় রকমের কোনো অনুঘটকের প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রমে চলমান অচলাবস্থার কারণে অক্টোবর মাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। এর ফলে, ফেডারেল রিজার্ভ চলতি মাসের শেষ দিকে কীভাবে সুদের হার সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেবে, তা এখনো ট্রেডারদের কাছে স্পষ্ট নয়। যদিও মার্কেটে সুদের হার হ্রাসের প্রায় ১০০% সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবুও সংশয় রয়ে গেছে। অতিরিক্তভাবে, মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা পুনরায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে। টেকনিক্যাল দিক থেকে, এই পেয়ারের মূল্য একটি ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাই আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, কেবল সন্ধ্যাবেলা একটি কার্যকর বাই সিগন্যাল গঠিত হয়। তার আগে সারাদিনজুড়ে এই পেয়ারের মূল্য 1.1655–1.1666 রেঞ্জে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। পরে যখন এই পেয়ারের মূল্য এই জোন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়, তখন নতুন ট্রেডারদের জন্য লং পজিশন ওপেন করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল, যেখানে মূল্যের 1.1745 এরিয়ার দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। এই পর্যায়ে ভবিষ্যৎ লাভের সম্ভাবনায় ব্রেকইভেনে স্টপ-লস অর্ডার সেট করে ট্রেড ওপেন রাখা যেতে পারে।
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে এখন স্পষ্টভাবেই EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য আবারও ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, এবং মার্কিন ডলারের মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও স্পষ্টভাবে নেতিবাচক রয়েছে। তাই ২০২৫ সালের যে সামগ্রিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল তা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার আবারও স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি দেখা যেতে পারে, কারণ ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে — কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। বৃহস্পতিবার 1.1655–1.1666 রেঞ্জে একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তাই লং পজিশন এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে, যেখানে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1745–1.1754 জোনের কাছাকাছি পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988।আজ উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায়, ভোলাটিলিটি আবারও কম থাকতে পারে। তবে ইউরোর দর সামান্য বাড়তে পারে, কারণ বর্তমানে এটির দর বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত শর্তই বিদ্যমান।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।