empty
 
 
14.10.2025 10:27 AM
ট্রাম্প ও শি-এর মধ্যে নতুন দ্বন্দ্বের সূচনা

ঠিক যখন মার্কেটে এমন গুঞ্জন শুরু হয়েছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিরল খনিজ উপাদান সংক্রান্ত নতুন ইস্যুতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে, তখনই ট্রাম্প ও শি জিনপিং নতুন করে বাণিজ্য সংঘাতের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।

জানা গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনের নৌপরিবহন, লজিস্টিকস এবং জাহাজ নির্মাণ খাত নিয়ে পরিচালিত তদন্তের জবাবে চীন দক্ষিণ কোরিয়ার হানহাওয়া সাগরের পাঁচটি মার্কিন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

This image is no longer relevant

ট্রাম্প যখন বেইজিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন, ঠিক তখনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স জানান, এই আলোচনার ফলাফল সম্পূর্ণভাবে চীনের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে। বেইজিংয়ের জবাব পেতে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্রুত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চীন তার পরবর্তী পদক্ষেপ ওয়াশিংটনের আচরণের ওপর নির্ভর করেই নেবে, যদিও তারা ইতোমধ্যে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বেইজিংয়ে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, "যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভুল পথে যাত্রা অব্যাহত রাখে, তাহলে চীন তার আইনগত অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।"

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট সোমবার বলেন, "আমি মনে করি, ট্রাম্প ও শেষ পর্যন্ত শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।" এমন মন্তব্য করে তিনি জানান, সাপ্তাহিক ছুটির সময় গুরুত্বপূর্ণ আলাপও হয়েছে। এদিকে, তিনি আরও জানান যে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তাদের মধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন ওয়াশিংটনের কৌশলগত মিত্রদের একত্রিত করে বেইজিংয়ের উপর চাপ প্রয়োগ করার উদ্যোগ নিচ্ছে। যদি চীন প্রত্যাশিতভাবে সাড়া না দেয়, তাহলে 'ব্রুট ফোর্স' স্তরের পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

"এটা পুরো বিশ্বের বিরুদ্ধে চীনের যুদ্ধ,"—বেসেন্ট বলেন। "তারা গোটা মুক্ত বিশ্বের সাপ্লাই চেইন ও শিল্প কাঠামোর দিকে একটি শক্তিশালী অস্ত্র তাক করেছে। এবং জানিয়ে দিচ্ছি—আমরা এটা সহ্য করব না।"

অর্থনীতিবিদদের মধ্যে এখনও এই বিষয়ে মতভেদ রয়েছে যে, কোন পক্ষের হাতে আসল 'সুবিধা' বেশি। তবে অনেকে মনে করেন, চীন প্রায় ৫০% হারে মার্কিন শুল্ক অতিক্রম করেও রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারবে। এর পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ—রপ্তানি বাজারের বৈচিত্র্য, উৎপাদন ব্যয় কমানোর সক্ষমতা, এবং প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখার লক্ষ্যে সরকার দ্বারা প্রদত্ত প্রণোদনা। তবে এই সহনশীলতা সীমাহীন নয়, এবং উচ্চ শুল্ক শেষ পর্যন্ত চীনের অর্থনীতিতে দৃশ্যমান প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলাফল হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্যদিকে, বাণিজ্য যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মার্কিন অর্থনীতিও মুক্ত নয়। চীনা পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে আমদানিকৃত কাঁচামাল ও উপাদানের জন্য মার্কিন কোম্পানির খরচ বৃদ্ধি পাবে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য বাড়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা দুর্বল হয়। একইসঙ্গে, চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা মার্কিন কৃষক ও রপ্তানিকারকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

যদি এবার যুক্তরাষ্ট্র কোনো ছাড় না দেয়, শি জিনপিং আবারও বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারেন, বিশেষ করে এ বছর শুরুর দিকে চালু হওয়া লাইসেন্সিং সিস্টেমকে শ্লথ করে এই কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারেন। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন চীনপন্থী পক্ষগুলোর কাছ থেকে প্রতিরোধের মুখে পড়তে পারে—যদিও ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের তুলনায় তাদের উপস্থিতি কম, তবুও তারা এখনও বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পক্ষে অবস্থান করছেন।

পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, বিরল খনিজগুলোর ওপর শি জিনপিংয়ের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা—যা গত শুক্রবার চালু হওয়া নতুন নীতিমালার মাধ্যমে এমনকি বিদেশি কোম্পানির রপ্তানির উপরেও প্রযোজ্য হচ্ছে—মূলত সেই একই কৌশলের প্রতিচ্ছবি যা দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটন নিজদেশের অ্যাডভান্সড সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার করে এসেছে। এক সময় চীন এই ধরনের কৌশলকে "দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ" বলে সমালোচনা করেছিল, অথচ এখন তারা নিজেরাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে সেই একই নিয়মে খেলছে।

টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD
বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের প্রথম লক্ষ্য হবে মূল্যকে 1.1600 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে পেয়ারটির মূল্যের 1.1630 লেভেলে পৌঁছানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1660 পর্যন্ত বাড়তে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের শক্তিশালী সমর্থন ছাড়া তা অর্জন করা কঠিন হতে পারে। আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.1690-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যেতে পারে।

যদি দরপতন শুরু হয়, তাহলে মূল্য 1.1570 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে বড় কোনো ক্রেতা সক্রিয় না হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য 1.1545 লেভেলে পর্যন্ত নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা অধিক যুক্তিযুক্ত হবে অথবা 1.1510 লেভেলের আশপাশ থেকে লং পজিশন ওপেন করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।

টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD
GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম কাজ হবে 1.3295 লেভেল ব্রেক করানো। এতে সফল হলে তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3325-এর লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারে পারবে, যদিও এই লেভেল অতিক্রম করাও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.3360-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যেতে পারে।

যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে মূল্য 1.3260 লেভেলের নিচে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইবে। এই লেভেল সফলভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনে গুরুতর আঘাত হানতে পারে এবং GBP/USD-এর মূল্য 1.3230 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি সম্ভাব্যভাবে মূল্য আরও কমে 1.3200 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.